সোমবার, ১ অক্টোবর, ২০১৮

ভুমিকম্প মহান আল্লাহ তায়ালার একটি নিদর্শন। কিয়ামতের পূর্বে ব্যপক ভূমিধ্বস ও অত্যাধিক ভুমিকম্প হবে।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি-



ভুমিকম্প মহান আল্লাহ তায়ালার একটি নিদর্শনঃ
মহান আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ ‘’তিনি তোমাদের জন্য যমীনকে অধীন করে দিয়েছেন, যাতে তোমরা তার বুকের উপর চলাচল করো, আর আল্লাহর দেয়া রিযক হতে আহার করো। পুনরায় জীবিত হয়ে তাঁর কাছেই ফিরে যেতে হবে। তোমরা কি তোমাদেরকে নিরাপদ মনে করে নিয়েছ যে, যিনি আকাশে আছেন, তিনিতমাদেরকে যমীনে বিধ্বস্ত করে দিবেন না, যখন তা হঠাৎ থর থর করে কাঁপতে থাকবে?’’ মুলক ৬৭/১৫-১৬
কিয়ামতের পূর্বে ঘন ঘন ও অত্যাধিক ভুমিকম্প হবেঃ
হাদীস নঃ ১ আবু হুরায়রাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ ‘’কিয়ামত সংঘটিত হবে না যতক্ষন দুটি বড় দল পরস্পরে মহাযুদ্ধে লিপ্ত হবে। উভয় দলের দাবী হবে অভিন্ন। আর যতক্ষন ত্রিশের কাছাকাছি মিথ্যাচারী দাজ্জাল-এর প্রকাশ না পাবে। তারা প্রত্যেকেই আল্লাহর প্রেরিত রাসুল বলে দাবী করবে এবং যতক্ষন না ইলম উঠিয়ে নেয়া হবে। আর ভুমিকম্প অধিক হারে না হবে। আরা যামানা সংক্ষিপ্ত না হবে এবং ব্যপক হারে ফিতনা প্রকাশ না পাবে। আর হারজ ব্যপকতা লাভ করবে। হারজ হল হত্যা।
আর যতক্ষন তোমাদের মাঝে ধন-সম্পদ বৃদ্ধি না পাবে। তখন সম্পদের এমন সয়লাব শুরু হবে যে, সম্পদের মালিক তার সদাকাহ কে গ্রহন করবে- এ নিয়ে চিন্তাযুক্ত হয়ে পড়বে। এমন কি কারো নিকট সে সম্পদ দেয়া হলে, সে বলবে- আমার এ মালের কোনোই প্রয়োজন নেই।
আর যতক্ষন মানুষ উঁচু উঁচু প্রাসাদ নির্মাণের জন্য পরস্পরে প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ না হবে। আর যতক্ষন এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তির কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম করার সময় বলবে- হায়! আমি যদি এ কবরবাসীর স্থলে হতাম এবং যতক্ষন সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উদিত না হবে। যখন সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উঠবে এবং সকল লোক তা দেখবে এবং সেদিন সবাই ঈমান আনবে। কিন্তু সেদিন তার ঈমান কাজে আসবে না, যে এর আগে ঈমান আনেনি। কিংবা ইতিপূর্বে যারা ঈমান আনেনি কিংবা ঈমানের মাধ্যমে কল্যাণ অর্জন করেনি।
আর অবশ্যই কিয়ামত এমন অবস্থায় কায়েম হবে যে, দু’ব্যক্তি (পরস্পরে ক্রয়-বিক্রয়ের) জন্য) কাপড় খুলবে, কিন্তু তারা বেচাকেনা ও গুটিয়ে রাখা শেষ করতে পারবে না।
অবশ্যই কিয়ামত এমন অবস্থায় কায়েম হবে যে, এক ব্যক্তি তার উটের দুধ দোহন করে নিয়ে ফিরেছে, কিন্তু সে তা পান করতে পারবে না।
কিয়ামত এমন অবস্থায় কায়েম হবে যে, এক ব্যক্তি তার হাউয তৈরি করছে, কিন্তু সে পানি পান করাতে পারবে না। অবশ্যই কিয়ামত এমন (অতর্কিত) ভাবে কায়েম হবে যে, এক ব্যক্তি মুখের কাছে লোকমা তুলবে, কিন্তু সে তা আহার করতে পারবে না’’ বুখারী ১০৩৬, ৭২১২
ভুমিকম্পের মাধ্যমে এই উম্মতকে শাস্তি দেয়া হবেঃ
হাদীস নঃ ২ আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাঃ) বলেছেনঃ ‘’কিয়ামতের পূর্বে চেহারা বিকৃতি, ভূমিধ্বস ও প্রস্তরবৃষ্টি হবে’’ ইবন মাযাহ ৪০৫৯ (আলবানি সহীহ বলেছেন)
হাদীস নঃ ৩ সাহল বিন সা’দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী (সাঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ ‘’আমার উম্মতের শেষ যামানায় ভূমিধ্বস, চেহারা বিকৃতি ও প্রস্তরবৃষ্টি হবে’’ ইবন মাযাহ ৪০৬০ (আলবানি সহীহ বলেছেন)
হাদীস নঃ ৪ আবদুল্লাহ ইবন আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ ‘’আমার উম্মতের মধ্যে ভূমিধ্বস, চেহারা বিকৃতি ও প্রস্তর বৃষ্টি হবে’’ ইবন মাযাহ ৪০৬২
ব্যাপক পাপাচারের কারনেই উম্মতের উপর ভুমিকম্পের আযাব নেমে আসবেঃ
হাদীস নঃ ৫ আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ ‘’এই উম্মতের শেষ পর্যায়ে ভূমিধ্বস, শারীরিক অবয়ব বিকৃতি ও পাথর বর্ষণের শাস্তি নিপতিত হবে।
আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমাদের মাঝে সৎলোক বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও কি আমাদেরকে ধ্বংস করে দেয়া হবে? রাসুল (সাঃ) বললেন, হাঁ, যখন ঘৃণ্য পাপাচারের প্রকাশ ও ব্যপক প্রসার ঘটবে’’ তিরমিযি ২১৮৫ (আলবানি সহীহ বলেছেন)
হাদীস নঃ ৬ ইমরান ইবন হুসাইন (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ ‘’ভূমিধ্বস, চেহারা বিকৃতি এবং পাথর বর্ষণ স্বরূপ আযাব এ উম্মতের মাঝে ঘনিয়ে আসবে। জনৈক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! কখন এ আযাব সংঘটিত হবে? রাসুল (সাঃ) বললেন, ‘’যখন গায়িকা ও বাদ্যযন্ত্র বিস্তৃতি লাভ করবে ও মদপানের সয়লাব শুরু হবে’’ তিরমিযি ২১২১ (আলবানি হাসান বলেছেন)
হাদীস নঃ ৭ নাফি (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক লোক সাহাবী ইবন উমার (রাঃ)-এর নিকট এসে বলল, অমুক লোক আপনাকে সালাম দিয়েছে। উত্তরে ইবন উমার (রাঃ) বললেন, আমি শুনেছি সে নাকি দ্বীনের মধ্যে নতুন মত (তাকদীর অস্বীকার করার বিদা’আত) তৈরি করেছে। যদি প্রকৃতপক্ষে সে দ্বীনের মধ্যে নতুন কিছু তৈরি করে থাকে, তাহলে আমার পক্ষ হতে কোনো সালাম দেয়া হবে না।
কেননা আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেনঃ ‘’আমার উম্মাতের মধ্যে যমীনে ধ্বসে যাওয়া, চেহারা বিকৃতরূপ ধারন করা, শিলা পাথর বর্ষণের মতো আল্লাহর কঠিন আযাব পতিত হবে। তারা তাকদীরের প্রতি অবিশ্বাসকারী (কাদারিয়া সম্প্রদায়) হবে’’ মিশকাতুল মাসাবীহ ১১৬; আবু দাউদ ৪৬১৩; ইবন মাযাহ ৪০৬১; তিরমিযি ২১৫২ (আলবানি হাসান বলেছেন)
হাদীস নঃ ৮ ইবন উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ ‘’আমার উম্মতের মধ্যে যমীনে ধসিয়ে দেয়া এবং চেহারা পরিবর্তন করে দেয়ার মতো শাস্তি হবে। তবে এ শাস্তি তাকদীরের প্রতি অবিশ্বাসকারীদের মধ্যেই হবে’’ ইবন মাযাহ ৪০৬১; মিশকাতুল মাসাবীহ ১০৬ (আলবানি হাসান বলেছেন)
কিয়ামতের ভয়াবহ ভুকম্পন সম্পর্কে কুরআনের বর্ণনাঃ
কাহাফ ১৮/৪৭ (সেদিনের কথা চিন্তা করো) যেদিন আমি পর্বতমালাকে চালিত করবো। আর পৃথিবীকে দেখতে পাবে উন্মুক্ত প্রান্তর, আর তাদের সবাইকে আমি একত্রিত করবো, কাউকে বাদ দেব না’’
হাজ্জ ২২/১-২ ‘’হে মানুষ! তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় করো, কিয়ামতের কম্পন এক ভয়ানক জিনিস। সেদিন তুমি দেখবে প্রতিটি দুগ্ধদায়িনী ভুলে যাবে তার দুগ্ধপোষ্য শিশুকে, আর প্রত্যেক গর্ভবতী গর্ভপাত করে ফেলবে, আর মানুষকে দেখবে মাতাল, যদিও তারা প্রকৃতপক্ষে মাতাল নয়। কিন্তু আল্লাহর শাস্তি বড়ই কঠিন’’
নামল ২৭/৮৭-৮৮ ‘’আর যেদিন শিঙ্গায় ফুঁ দেয়া হবে, সেদিন যারা আকাশে আছে আর যারা যমীনে আছে তারা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়বে, তবে আল্লাহ যাদের জন্য ইচ্ছা করবেন তারা বাদে। সবাই তাঁর কাছে আসবে বিনয়ে অবনত হয়ে। তুমি পর্বতগুলোকে দেখ আর মনে করো তা অচল, কিন্তু সেগুলো চলমান হবে যেমন মেঘমালা চলে। এটা আল্লাহর সৃষ্টি নৈপুণ্য, যিনি সবকিছুকে করেছেন যথাযথ। তোমরা যা করো সে সম্পর্কে তিনি সম্পূর্ণরূপে অবহিত’’
ক্বাফ ৫০/৪১-৪২ ‘’আর শোনো, যেদিন এক ঘোষণাকারী (প্রত্যেক ব্যক্তির) নিকটবর্তী স্থান থেকে ডাক দিবে, যেদিন সমস্ত মানুষ প্রকৃতই শুনতে পাবে এক (ভয়ংকর) ধ্বনি’’
তুর ৫২/১-১১ ‘’শপথ তুর (পর্বত) এর, শপথ কিতাবের, যা লিখিত খোলা পৃষ্ঠায়। শপথ বেশি বেশি আবাদকৃত ঘরের, শপথ সুউচ্চ ছাদের, শপথ তরঙ্গায়িত সমুদ্রের। তোমাদের প্রতিপালকের আযাব অবশ্যই সংঘটিত হবে, তাঁর প্রতিরোধকারী কেউ নেই। যেদিন আকাশ প্রচণ্ডভাবে কাঁপবে, আর পর্বত হবে দ্রুত চলমান। ধংস সেদিন সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের জন্য’’
ওয়াকিয়াহ ৫৬/১-৬ ‘’যখন সেই অবশ্যম্ভাবী ঘটনাটি ঘটবে, তখন তার সংঘটন অস্বীকার করার কেউ থাকবে না। (অনেককে করা হবে) নীচু, (অনেককে করা হবে) উচু। যখন পৃথিবী প্রবল কম্পনে হবে প্রকম্পিত। আর পাহারগুলো হবে চূর্ণ বিচূর্ণ। তখন তা বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত হবে’’
হাক্কাহ ৬৯/১৩-১৬ ‘’অতঃপর শিঙ্গায় ফুঁৎকার দেয়া হবে- মাত্র একটি ফুঁৎকার। পৃথিবী আর পর্বতমালা উৎক্ষিপ্ত হবে আর একই আঘাতে তাদেরকে চূর্ণ বিচূর্ণ করা হবে। সেদিন ঘটবে সংঘটিতব্য (মহা) ঘটনা। আকাশ হয়ে যাবে দীর্ণ বিদীর্ণ আর সেদিন তা হবে বাধন-হারা বিক্ষিপ্ত’’
মা’আরিজ ৭০/৬-১০ ‘’তারা ঐ দিনটিকে সুদুর মনে করছে। কিন্তু আমি তা নিকটে দেখতে পাচ্ছি। সেদিন আকাশ হবে গলিত রুপার মতো। আর পাহারগুলো হবে রঙ্গিন পশমের মতো। বন্ধু বন্ধুর খবর নিবে না’’
মুযযাম্মিল ৭৩/১৪ ‘’(কিয়ামতের দিন) যমিন আর পাহারগুলো কেঁপে উঠবে। আর পাহারগুলো হবে চলমান বালুকারাশি’’
মুরসালাত ৭৭/৭-১৫ ‘’তোমাদেরকে যার ওয়াদা দেয়া হয়েছে, তা অবশ্যই সংঘটিত হবে। যখন নক্ষত্ররাজীর আলো বিলুপ্ত হবে। যখন আকাশ বিদীর্ণ হবে, যখন পর্বতমালা ধুনিত হবে। যখন (হাশরের মাঠে) রাসুলগনের একত্রিত হওয়ার সময় এসে পড়বে। (এসব বিষয়) কোন দিনের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে? চূড়ান্ত ফয়সালার দিনের জন্য। সে চূড়ান্ত ফয়সালার দিনটি কী তা তোমাকে কিসে জানাবে? সে দিন দুর্ভোগ সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের জন্য’’
নাবা ৭৮/১৭-২০ ‘’নিশ্চয়ই নির্ধারিত আছে মীমাংসার দিন। সেদিন শিঙ্গায় ফুঁ দেয়া হবে, আর তোমরা দলে দলে আসবে। আকাশ খুলে দেয়া হবে আর তাতে হবে অনেক দরজা। আর পর্বতগুলোকে করা হবে চলমান, ফলে তা নিছক মরীচিকায় পরিণত হবে’’
নাযি’আত ৭৯/৬-১৪ ‘’সেদিন ভুকম্পন প্রকম্পিত করবে, তারপর আসবে আরেকটি ভুকম্পন। কত হৃদয় সেদিন ভয়ে ভীত হয়ে পড়বে, তাদের দৃষ্টি নত হবে। তারা (কাফেররা) বলে, ‘আমাদেরকে কি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে? আমরা যখন পচা-গলা হাড্ডি হয়ে যাবো (তখনও)? তারা বলে, অবস্থা যদি তাই হয় তাহলে এই ফিরিয়ে আনাটা তো সর্বনাশের ব্যপার হবে। ওটা তো কেবল একটা বিকট আওয়াজ, সহসাই তারা খোলা ময়দানে আবির্ভূত হবে’’
তাকভীর ৮১/১-১৪ ‘’যখন সূর্যকে গুটিয়ে নেয়া হবে। আর যখন তারকাগুলো তাদের উজ্জলতা হারিয়ে খসে পড়বে। পর্বতগুলোকে যখন চলমান করা হবে। যখন দশ মাসের গর্ভবতী উটনিগুলোকে অযত্নে পরিত্যাগ করা হবে। যখন বনের জন্তু-জানোয়ারকে (বোন থেকে গুটিয়ে লোকালয়ে) একত্রিত করা হবে। যখন সমুদ্রগুলোকে প্রজ্জলিত করে উত্তাল করা হবে। যখন দেহের সঙ্গে আত্মাগুলোকে আবার জুড়ে দেয়া হবে। যখন জীবন্ত পুঁতে ফেলা কন্যা শিশুকে জিজ্ঞেস করা হবে- কোন অপরাধে তাকে হত্যা করা হয়েছে? যখন আমলনামাগুলো খুলে ধরা হবে। যখন আসমানের পর্দা সরিয়ে ফেলা হবে। যখন জাহান্নামকে উসকে দেয়া হবে, আর জান্নাতকে নিকটে আনা হবে। তখন প্রত্যেক ব্যক্তি জানতে পারবে সে কী (সঙ্গে) নিয়ে এসেছে’’
গাশিয়াহ ৮৮/১ ‘’(সবকিছুকে) আচ্ছন্নকারী কিয়ামতের খবর তোমার কাছে পৌঁছেছে কি?
ফাজর ৮৯/২১-২৩ ‘’যখন পৃথিবীকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে বালি বানিয়ে দেয়া হবে। আর যখন তোমার প্রতিপালক আসবেন আর ফেরেশতারা আসবে সারিবদ্ধ হয়ে। আর জাহান্নামকে সেদিন (সামনা-সামনি) আনা হবে। সেদিন মানুষ উপলব্ধি করবে, কিন্তু তখন এ উপলব্ধি তার কী কাজে আসবে’’
যিলযাল ৯৯/১-৫ ‘’যখন পৃথিবীকে তার প্রচণ্ড কম্পনে কাঁপিয়ে দেয়া হবে। পৃথিবী তার (ভেতরের যাবতীয়) বোঝা বাইরে নিক্ষেপ করবে। এবং মানুষ বলবে, এর কী হয়েছে? সেদিন পৃথিবী তার (নিজের উপর সংঘটিত) বৃত্তান্ত বর্ণনা করবে, কারন তোমার প্রতিপালক তাকে আদেশ করবেন’’
ক্বারি’আহ ১০১/১-৫ ‘’মহা বিপদ! কী সেই মহা বিপদ? মহা বিপদ সম্পর্কে তুমি কী জানো? সেদিন মানুষ হবে বিক্ষিপ্ত পতঙ্গের মতো। আর পর্বতগুলো হবে ধুনা রঙ্গিন পশমের মতো’’।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Whatsapp Button works on Mobile Device only

Start typing and press Enter to search