বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি-
‘বিশেষ’ দিনগুলো নিয়ে আমাদের অনেক প্ল্যান থাকে।“স্পেশাল” দিন আসা আগেই শুরু হয়ে যায় নানা আয়োজন। আর আমাদের সমাজে সবচেয়ে বেশি আয়োজন সম্ভবত হয় বিয়েকে ঘিরে।
খুব হিসেব করে শীতের মৌসুমে বিয়ের অনুষ্ঠানের তারিখ ফেলা হয়। ৮/১০ মাস আগে থেকে পছন্দীয় কমিউনিটি সেন্টার বুকিং দেওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়ে যায়। শপিং শুরু হয়ে যায় ৬ মাস আগে থেকেই। সামর্থ্য অনুযায়ী শপিং এর জন্য অ্যামেরিকা, সিঙ্গাপুর নিদেনপক্ষে আমাদের জানের বন্ধুদেশ ইন্ডিয়াতে যাওয়া এখন রীতি হয়ে দাড়িয়েছে। আগে মেয়েরা ম্যাচিং শাড়ি পড়তো, আজকাল ছেলেরাও ম্যাচিং পাঞ্জাবী পড়ে স্টেজে দাঁড়িয়ে হাসি হাসি মুখে ছবি তোলে।
ব্যাপক শ্রম ও বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করে আমরা চেষ্টা করি বিশেষ দিনগুলোর জন্য, বিশেষ মুহুর্তগুলোর জন্য প্রস্তুতি নিতে।
এমন একটি দিন আসছে যেদিন আকাশ বিদীর্ণ হবে, পৃথিবী চূর্ণ বিচূর্ণ হবে, নক্ষত্ররাজি নিভে যাবে, ঝরে পড়বে, চন্দ্র হবে জ্যোতিহীন, সূর্য ও চন্দ্রকে একত্রিত করা হবে। যেদিন সমুদ্র হবে উত্তাল, পর্বতমালা হবে ছিন্নবিচ্ছিন্ন, যেইদিন মানুষ পালাবে তার ভাইয়ের কাছ থেকে, মাতা ও পিতার কাছ থেকে সন্তান ও স্ত্রী কাছ থেকে, যেদিন আকাশের আবরণ অপসারন করা হবে। এইদিন হবে ৫০,০০০ বছরে চেয়েও দীর্ঘ। যেদিন মানবজাতি হবে নতজানু।
আর এইদিন আনা হবে আল্লাহ সুবহানহু ওয়া তা’আলার এক ভয়ংকর সৃষ্টিকে। তাকে আনা হবে শেকলে বেঁধে। ক্রোধান্বিত,ক্ষিপ্ত, অতৃপ্ত এক জন্তুর ন্যায় , গর্জনরত অবস্থায় সে আসবে। আর অপেক্ষা করবে আপনার জন্য…অপেক্ষা করবে মালিকুল মুলক আল্লাহ ‘আযযা ওয়া জালের ফায়সালার জন্য।
দুনিয়ার হাসিতামাশার জন্য দিনরাত ছুটে চলা, তুচ্ছাতিতুচ্ছ জীবনের তুচ্ছতর বিশেষ দিনগুলো সহস্র ঘন্টা ব্যয় করা এই আমরা সেইদিনটির জন্য কি প্রস্তুত করেছি?
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন