শুক্রবার, ২৭ জুলাই, ২০১৮

সূর্যগ্রহন বা চন্দ্রগ্রহন উপভোগের বিষয় নয়, বরং তা আল্লাহর ভয়ে ভীত হয়ে তাঁরই দিকে ফিরে আসার নিদর্শন

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি-


লিখেছেনঃ আনিসুর রহমান

দুঃখজনকভাবে সূর্য ও চন্দ্রগ্রহনকে অনেক মুসলিমেরা অমুসলিমদের অনুসরনে নিছক আনন্দ উপভোগের বিষয়ে পরিনত করেছে। চন্দ্র ও সূর্য মহান আল্লাহ তায়ালার অন্যতম নিদর্শন। তিনি এসব সৃষ্টি করেছেন এবং চন্দ্র ও সূর্য তাঁরই আজ্ঞাবহ। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা চন্দ্র ও সূর্যের কসম করেছেন। তিনি এগুলো অনর্থক সৃষ্টি করেননি বরং আমাদের উপকারের জন্য সৃষ্টি করেছেন।

‘’তিনি ঊষার উন্মেষ ঘটান, তিনি রাত সৃষ্টি করেছেন শান্তি ও আরামের জন্য, সূর্য ও চন্দ্র বানিয়েছেন গননার জন্য’’ আন’আম ৬/৯৬

‘’তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহ যিনি ছয় দিনে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর আরশে সমুন্নত হয়েছেন। দিনকে তিনি রাতের পর্দা দিয়ে ঢেকে দেন, তারা একে অন্যকে দ্রুতগতিতে অনুসরন করে এবং সূর্য, চন্দ্র, তারকারাজী তারই আজ্ঞাবহ। জেনে রেখো, সৃষ্টি তাঁর হুকুমও চলবে তাঁর, মহীয়ায়, গরীয়ান আল্লাহ বিশ্বজগতের প্রতিপালক’’ আ’রাফ ৭/৫৪

‘’তিনি সূর্যকে করেছেন তেজোদীপ্ত, আর চন্দ্রকে করেছেন আলোকময় আর তার হ্রাস-বৃদ্ধির মনযিলসমুহ সঠিকভাবে নির্ধারণ করেছেন যাতে তোমরা বৎসর গুনে সময়ের হিসাব রাখতে পারো। আল্লাহ এটা অনর্থক সৃষ্টি করেননি, তিনি নিদর্শনগুলোকে বিশদভাবে বর্ণনা করেন জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য’’ ইউনুস ১০/৫

‘’আল্লাহ স্তম্ভ ছাড়াই আকাশমণ্ডলীকে ঊর্ধ্বে তুলে রেখেছেন, যা তোমরা দেখছ, অতঃপর তিনি আরশে সমুন্নত হয়েছেন। তিনিই সূর্য ও চন্দ্রকে নিয়মের বন্ধনে বশীভুত রেখেছেন, প্রত্যেকেই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য গতিশীল আছে। যাবতীয় বিষয় তিনিই নিয়ন্ত্রন করেন, তিনি নিদর্শনসমুহ বিশদভাবে বর্ণনা করেন যাতে তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যাপারে দৃঢ় বিশ্বাসী হতে পারো’’ রা’দ ১৩/২

‘’তিনি সূর্য ও চন্দ্রকে তোমাদের কাজে লাগিয়ে রেখেছেন, তারা অনুগত হয়ে নিজ নিজ পথে চলছে। আর তিনি রাত ও দিনকে তোমাদের কাজে লাগিয়ে রেখেছেন’’ ইবরাহীম ১৪/৩৩

‘’তিনিই রাত ও দিনকে তোমাদের উপকারে নিয়োজিত করেছেন। আর সূর্য ও চন্দ্রকেও; এবং তারকারাজীও তাঁরই নির্দেশে নিয়ন্ত্রিত। বিবেকসম্পন্ন লোকদের জন্য এতে অবশ্যই বহু নিদর্শন রয়েছে’’ নাহল ১৬/১২

‘’তিনিই সৃষ্টি করেছেন রাত ও দিন, সূর্য ও চন্দ্র, প্রত্যেকেই তার চক্রাকার পথে সাঁতার কাটছে’’ আম্বিয়া ২১/৩৩

‘’তুমি কি দেখ না যে, আল্লাহকে সিজদা করে যারা আকাশে আছে, আর যারা পৃথিবীতে আছে, আর সূর্য, চন্দ্র, তারকারাজি, পর্বতসমূহ, বৃক্ষরাজি, জীবজন্তু এবং মানুষের মধ্যে অনেকে। আর অনেকের প্রতি শাস্তি সাব্যস্ত হয়ে গেছে। আল্লাহ্‌ যাকে লাঞ্ছিত করতে চান, তাকে সম্মানিত করার কেউ নেই। আল্লাহ্‌ যা ইচ্ছা তাই করেন’’ হাজ্জ ২২/১৮

‘’এবং আমি তাকে (সাবার রানী বিলকিস) আর তার সম্প্রদায়কে দেখলাম আল্লাহর পরিবর্তে সূর্যকে সিজদাহ করতে। শয়তান তাদের কাজকে তাদের জন্য শোভন করে দিয়েছে এবং তাঁদেরকে সৎপথ থেকে বাঁধা দিয়ে রেখেছে। কাজেই তারা সৎপথ পায় না’’ নামল ২৭/২৪

‘’তাদের জন্য একটি নিদর্শন হচ্ছে রাত, তাথেকে আমি দিনকে সরিয়ে নেই, ফলে তখনই তারা অন্ধকারে ডুবে যায়। আর সূর্য- তার জন্য নির্দিষ্ট করে দেয়া যায়গায় গতিশীল। এটা মহাপরাক্রান্ত সর্বজ্ঞের সুনিরূপিত নির্ধারণ। আর চাঁদ- তার জন্য আমি নির্দিষ্ট করেছি বিভিন্ন মনজিল যা সে অতিক্রম করে, এমনকি শেষ পর্যন্ত সেটি খেজুরের কাঁদির পুরনো শুকনো দণ্ডের মতো ফিরে আসে। সূর্যের পক্ষে সম্ভব নয়, চাঁদকে ধরে ফেলা, আর রাতের পক্ষে সম্ভব নয় দিনকে ছাড়িয়ে আগে বেরে যাওয়া। প্রত্যেকেই নিজ নিজ কক্ষপথে সাঁতার কাটছে’’ ইয়া-সিন ৩৬/৩৭-৪০

‘’তাঁর নিদর্শনগুলোর মধ্যে হল রাত, দিন, সূর্য ও চন্দ্র। সূর্যকে সিজদাহ করো না, চন্দ্রকেও না। সিজদাহ করো আল্লাহকে যিনি ওগুলো সৃষ্টি করেছেন, যদি সত্যিকারভাবে তোমরা তাঁরই ইবাদত করতে চাও’’ ফুসসিলাত ৪১/৩৭

‘’শপথ সূর্যের ও তার উজ্জ্বল কিরণের। শপথ চাঁদের যখন তা সূর্যের পেছনে আসে। শপথ দিনের যখন তা সূর্যকে উদ্ভাসিত করে। শপথ রাতের যখন তা সূর্যকে ঢেকে নেয়’’ শামস ৯১/১-৪

সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহন কারো জন্ম বা মৃত্যুর কারনে সংঘটিত হয় না। এগুলো মহান আল্লাহ তায়ালার অগনিত নিদর্শন সমুহের মধ্যে অন্যতম দুটি নিদর্শন। এর মাধ্যমে ভয় প্রদর্শন করেন যেন লোকেরা তাঁর দিকে ফিরে আসে। সূর্যগ্রহন বা চন্দ্র গ্রহনের সময় আল্লাহর রাসুল (সাঃ) ভীত হয়ে সলাতে দাঁড়িয়ে যেতেন। এ সময় তিনি দু’আ করার, আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করার, দাস মুক্ত করার, যিকর করার ও দান সদকাহ করার নির্দেশ দিয়েছেনঃ

আবু বাকরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবী (সাঃ)-এর নিকট ছিলাম। এ সময় সূর্যগ্রহণ শুরু হয়। নবী (সাঃ) তখন উঠে দাঁড়ালেন এবং নিজের চাদর টানতে টানতে মসজিদে প্রবেশ করলেন এবং আমরাও প্রবেশ করলাম। তিনি আমাদেরকে নিয়ে সূর্য প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত দু’ রাকা’আত সলাত আদায় করলেন। অতঃপর নবী (সাঃ) বললেনঃ ‘’কারো মৃত্যুর কারনে সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহন হয়না। তোমরা যখন সূর্যগ্রহণ দেখবে তখন এ অবস্থা দূর না হওয়া পর্যন্ত সলাত আদায় করবে এবং দু’আ করতে থাকবে’’ বুখারী ১০৪০, ১০৪৮, ১০৬৩, ৫৭৮৫

আবু মাস’উদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাঃ) বলেছেনঃ ‘’কোনো লোকের মৃত্যুর কারনে কখনো সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহন হয় না। তবে তা আল্লাহর নিদর্শন সমুহের দু’টি নিদর্শন। তাই তোমরা যখন সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহন হতে দেখবে, তখন দাঁড়িয়ে যাবে এবং সলাত আদায় করবে’’ বুখারী ১০৪১, ১০৫৭, ৩২০৪

ইবন উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নবী (সাঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহন কারো মৃত্যু বা কারো জন্মের কারনে হয় না। তবে তা আল্লাহর নিদর্শন সমুহের মধ্যে দু’টি নিদর্শন। কাজেই তোমরা যখনই গ্রহন হতে দেখবে তখনই সলাত আদায় করবে’’ বুখারী ১০৪২, ৩২০১

মুগীরাহ ইবন শুবা’হ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃ)-এর সময় যে দিন তাঁর সন্তান ইবরাহীম (রাঃ) ইনতেকাল করেন, সেদিন সূর্যগ্রহণ হয়েছিল। লোকেরা তখন বলতে লাগলো, ইবরাহীম (রাঃ)-এর মৃত্যুর কারনেই সূর্যগ্রহণ হয়েছে। তখন আল্লাহর রাসুল (সাঃ) বললেনঃ ‘’কারো মৃত্যু অথবা জন্মের কারনে সূর্য বা চন্দ্র গ্রহন হয় না। তোমরা যখন তা দেকগবে, তখন সলাত আদায় করবে এবং আল্লাহর নিকট দু’আ করবে’’ বুখারী ১০৪৩, ১০৬০, ৬১৯৯

আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, (সূর্যগ্রহণের সলাত আদায় শেষে) নবী (সাঃ) কবরের আযাব হতে পানাহ চাওয়ার জন্য লোকদেরকে আদেশ করলেন’’ বুখারী ১০৪৯, ১০৫০

আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ ‘’সূর্য ও চাঁদ আল্লাহর নিদর্শনাবলীর দু’টো নিদর্শন। কারো মৃত্যুতে সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহন হয়না। আর কারো জন্মের কারনেও হয়না। তোমরা এরুপ গ্রহন দেখতে পেলে আল্লাহর নিকট দু’আ করো এবং তাঁর বড়ত্ব ঘোষণা করো। সলাত আদায় করো, দান-সদকাহ ও খয়রাত করো, হে মুহাম্মাদের উম্মতগন! আল্লাহর কসম! আমি যা জানি যদি তোমরা তা জানতে, নিশ্চয়ই তোমরা কম হাসতে ও বেশি কাঁদতে’’ বুখারী ১০৪৪, ১০৪৬, ১০৪৭; মিশকাতুল মাসাবীহ ১৪৮৩

আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ ‘’সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহর অসংখ্য নিদর্শনসমূহের মধ্যে দু’টো নিদর্শন। কারো জন্ম ও মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহন হয়না। তোমরা এরুপ গ্রহন দেখলে আল্লাহ তায়ালার যিকর করবে’’ বুখারী ১০৫২, ৩২০২, ৫১৯৭; মিশকাতুল মাসাবীহ ১৪৮২

আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ ‘’সূর্য ও চাঁদ আল্লাহর নিদর্শনাবলীর দু’টো নিদর্শন। কারো মৃত্যুতে সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহন হয়না। আর কারো জন্মের কারনেও হয়না। তোমরা এরুপ গ্রহন দেখতে পেলে আল্লাহর নিকট দু’আ করো এবং তাঁর বড়ত্ব ঘোষণা করো। সলাত আদায় করো, দান-সদকাহ ও খয়রাত করো, হে মুহাম্মাদের উম্মতগন! আল্লাহর কসম! আমি যা জানি যদি তোমরা তা জানতে, নিশ্চয়ই তোমরা কম হাসতে ও বেশি কাঁদতে’’ বুখারী ১০৪৪, ১০৪৬, ১০৪৭; মিশকাতুল মাসাবীহ ১৪৮৩

আবু মুসা আশ’আরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার সূর্যগ্রহণ হল। তখন নবী (সাঃ) ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে উঠলেন এবং কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার ভয় করছিলেন। অতঃপর তিনি মসজিদে গমন করলেন। দীর্ঘ কিয়াম, রুকু ও সিজদাহ দিয়ে সলাত আদায় করলেন। সাধারনত (এতো দীর্ঘ সময় ধরে সলাত আদায় করতে) আমি তাঁকে কখনো দেখিনি। অতঃপর তিনি বললেন, এসব নিদর্শনাবলী যা আল্লাহ তায়ালা পাঠিয়ে থাকেন তা না কারো মৃত্যুতে সংঘটিত হয়ে থাকে, আর না কারো জন্মের কারনে হয়ে থাকে। বরং এসব দিয়ে আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে থাকেন। অতএব তোমরা যখন এ নিদর্শনাবলীর কোনো একটি অবলোকন করবেন, আল্লাহকে ভয় করবে। তাঁর যিকর করবে। তাঁর নিকট দু’আ ও ক্ষমা প্রার্থনা করবে’’ বুখারী ১০৫৯; মিশকাতুল মাসাবীহ ১৪৮৪

আসমা বিনতে আবু বকর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাঃ) সূর্যগ্রহণ শুরু হলে দাস মুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন’’ বুখারী ১০৫৪; মিশকাতুল মাসাবীহ ১৪৮৯

আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর সময় সূর্যগ্রহণ হল। নবী (সাঃ) তখন দাঁড়ালেন এবং লোকদের নিয়ে সলাত আদায় করলেন। সলাত শেষে তিনি বললেন, সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহন কারো মৃত্যু কিংবা জন্মের কারনে হয় না। আল্লাহর নিদর্শন সমুহের মধ্যে এ হল দু’টি নিদর্শন। কাজেই যখন তোমরা তা দেখবে তখন ভীত অবস্থায় সলাতের দিকে আসবে’’ বুখারী ১০৫৮, ৩২০৩

চন্দ্র, সূর্য ও কিয়ামত সম্পর্কিত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ হাদীস নিম্নে উল্লেখ করা হল।

চন্দ্র দ্বিখণ্ডিত হওয়া কিয়ামতের অন্যতম আলামতঃ

‘’কিয়ামত নিকটবর্তী হয়েছে এবং চন্দ্র দ্বিখণ্ডিত হয়েছে। কিন্তু তারা যখন কোনো নিদর্শন দেখে তখন মুখ ফিরিয়ে ন্য, আর বলে- এটা তো সেই আগের থেকে চলে আসা জাদু’’ ক্বামার ৫৪/১-২

কিয়ামতের দিন চন্দ্র ও সূর্য দুটিকেই গুটিয়ে নেয়া হবেঃ

আবু হুরায়রাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাঃ) বলেছেনঃ ‘’কিয়ামতের দিন সূর্য ও চন্দ্র দুটিকেই গুটিয়ে নেয়া হবে’’ বুখারী ৩২০০

কিয়ামতের পূর্বে সূর্য পশ্চিম দিক হতে উদয় হবেঃ

আবু যার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় নবী (সাঃ) তাঁকে বললেন, তুমি জানো, সূর্য কোথায় যায়? আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সাঃ)-ই ভালো জানেন। তিনি বললেন, তা যেতে যেতে আরশের নিচে গিয়ে সিজদায় পড়ে যায়। অতঃপর সে আবার উদিত হওয়ার অনুমতি চায় এবং তাকে অনুমতি দেয়া হয়। শীঘ্রই এমন সময় আসবে যে, সিজদা করবে কিন্তু তা কবুল করা হবে না এবং সে অনুমতি চাইবে কিন্তু তাকে অনুমতি দেয়া হবে না। তাকে বলা হবে, যে পথ দিয়ে এসেছ, ঐ পথেই ফিরে যাও। তখন সূর্য পশ্চিম দিক হতে উদিত হবে। এটাই মর্ম হল মহান আল্লাহর বানীর ‘আর সূর্য নিজ গন্তব্যে কক্ষ পথে চলতে থাকে’ (ইয়া-সিন ৩৬/৩৮)’’ বুখারী ৩১৯৯, ৪৮০২, ৭৪২৪

নোটঃ সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহনের সলাতের পদ্বতিতে ব্যতিক্রম ও ভিন্নতা রয়েছে। কলেবর বৃদ্ধি হওয়ার আশংকায় হাদীসগুলো সংক্ষেপে উল্লেখ করা হল এবং সূর্যগ্রহন ও চন্দ্রগ্রহনের সলাতের যে নিয়ম-পদ্বতি উল্লেখ রয়েছে তা পরিহার করা হল। আগ্রহী পাঠকগণ এই সলাতের বিস্তারিত নিয়ম-পদ্বতি হাদীস গ্রন্থ ও বিভিন্ন সলাত শিক্ষা বই থেকে জেনে নিতে পারেন।

Whatsapp Button works on Mobile Device only

Start typing and press Enter to search