ইসলাম একটি সার্বজনীন ধর্ম। এতে সন্যাসবাদ ও প্রান্তিকতার কোন স্থান নেই।
রুচিসম্মত চিত্তবিনোদন কিংবা শরীর চর্চার উদ্দেশ্যে খেলাধূলা করাকে ইসলাম অবৈধ বলে না। তবে অবশ্যই তা ইসলামের সীমারেখার ভিতরে থেকে হতে হবে। কিছু শর্ত সাপেক্ষে ইসলাম খেলাধূলার বৈধতা দেয়। শর্তগুলো নিম্নরূপ-
১. শরীরচর্চা ও মানসিক প্রশান্তি দায়ক খেলা হতে হবে। অহেতুক সময় অপচয় বা শুধু খেলার জন্য খেলা হতে পারবে না।
২. সম্পূর্ণ জুয়া মুক্ত হতে হবে।
৩. শরীয়ত নির্দেশিত সতরের সীমালঙ্ঘন করা যাবে না। অর্থাৎ শরীয়তে নিষিদ্ধ পোশাক পরিধান করা যাবে না।
৪. শরীয়ত নির্দেশিত পর্দা-বিধানের প্রতি যথাযথ যত্নবান হতে হবে।
৫. খেলায় লিপ্ত হওয়ার দ্বারা নামায, জামাআত বা শরীয়তের কোন বিধান পালনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা না থাকতে হবে।
সুতরাং উপরোক্ত শর্ত সাপেক্ষে ক্রিকেট-ফুটবল খেলাও বৈধ হবে এবং উপরোক্ত শর্ত সাপেক্ষে সাময়িকের জন্য তা দেখাও জায়েয হবে। পক্ষান্তরে, উপরোক্ত শর্তের কোন একটি শর্ত অনুপস্থিত থাকলে ক্রিকেট-ফুটবল খেলা জায়েয হবে না এবং তা দেখাও নাজায়েয হবে।
কিন্তু বর্তমানে যেভাবে ক্রিকেট-ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয় তা ইসলামের দৃষ্টিতে কোন ক্রমেই বৈধ নয়। এ ধরনের খেলাধূলার লাইভ সম্প্রচার কিংবা আয়োজনের পূর্বে ধারণকৃত ভিডিও শোনা কোনটিই জায়েয নয়। কারণ এতে নিষিদ্ধ বাদ্য বাজানো হয়। দর্শকসারি (গ্যালারী) দেখাতে গিয়ে পরনারীদেরও দেখানো হয় এবং এদের (নারীদের) উপরই বেশিরভাগ সময় ক্যামেরা স্থির করা হয়। কোন কোন খেলা চলাকালে তো স্টেডিয়ামেই অর্ধনগ্ন নারীদের নাচের ব্যবস্থা করা হয়। এগুলো স্পষ্টতই হারাম কাজ।
আর সশরীরে উপস্থিত হয়েও এ ধরনের খেলা উপভোগ করা জায়েয নয়। এতে মুমিনের একাধিক গুনাহে লিপ্ত হওয়ার পাশাপাশি মূল্যবান সময় অপচয় হয়।
মানুষের অল্প সময়ের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তই অত্যন্ত মূল্যবান। তাই প্রতিটি মানুষের উচিত এই মূল্যবান সময়কে মূল্যবান কাজে ব্যয় করা। যা তার মৃত্যুর পর অনন্ত জীবনের জন্য কাজে আসবে।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, বুদ্ধিমান সেই ব্যক্তি যে মৃত্যু পরবর্তী জীবনের পাথেয় সংগ্রহ করে। (সুনানে তিরমিযী; হা.নং ২৪৫৯)
(সূত্র: সূরা আলে ইমরান- ১৮৫, সূরা মায়িদা- ২, সূরা লুকমান- ৬, সূরা নূর- ৩০, ৩১, তাফসীরে কুরতুবী ৬/৫১৩, ৫১৬, ৭/৩৭৪, ৩৭৫, সুনানে তিরমিযী; হা.নং ১৬৩৭, ২৪৫৯, সহীহ বুখারী; হা.নং ৫১৬২, ৬৩০১, সুনানে ইবনে মাজাহ; হা.নং ২৮১১, সুনানে নাসায়ী; হা.নং ৩৫৮০, সুনানে আবু দাউদ; হা.নং ২৫১৩, ৪০৭৮, ৪৯২৭, মুসনাদে হুমাইদী; হা.নং ২৫৪, মুসনাদে আহমাদ; হা.নং ২৪৮৫৫, মুসতাদরাকে হাকিম; হা.নং ২৪৬৭, মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক; হা.নং ১৯৭৩৭, মারিফাতুস সুনান ওয়াল আসার লিল-বাইহাকী; হা.নং ৬১৫৬, কিতাবুল ফিকহ আলা মাযাহিবিল আরবাআ ২/৪৬, জাদীদ ফিকহী মাসাইল ১/২৩৯, কিফায়াতুল মুফতী ৯/২৬৮, আপকে মাসাইল আওর উনকা হল ৮/৪০৬, ইমদাদুল মুফতীন ২/৮৩১, কিতাবুল ফাতাওয়া ৬/১৬০, ইমদাদুল আহকাম ৪/৩৭৮, তাকমিলাতু ফাতহিল মুলহিম ৪/৯৮)
রুচিসম্মত চিত্তবিনোদন কিংবা শরীর চর্চার উদ্দেশ্যে খেলাধূলা করাকে ইসলাম অবৈধ বলে না। তবে অবশ্যই তা ইসলামের সীমারেখার ভিতরে থেকে হতে হবে। কিছু শর্ত সাপেক্ষে ইসলাম খেলাধূলার বৈধতা দেয়। শর্তগুলো নিম্নরূপ-
১. শরীরচর্চা ও মানসিক প্রশান্তি দায়ক খেলা হতে হবে। অহেতুক সময় অপচয় বা শুধু খেলার জন্য খেলা হতে পারবে না।
২. সম্পূর্ণ জুয়া মুক্ত হতে হবে।
৩. শরীয়ত নির্দেশিত সতরের সীমালঙ্ঘন করা যাবে না। অর্থাৎ শরীয়তে নিষিদ্ধ পোশাক পরিধান করা যাবে না।
৪. শরীয়ত নির্দেশিত পর্দা-বিধানের প্রতি যথাযথ যত্নবান হতে হবে।
৫. খেলায় লিপ্ত হওয়ার দ্বারা নামায, জামাআত বা শরীয়তের কোন বিধান পালনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা না থাকতে হবে।
সুতরাং উপরোক্ত শর্ত সাপেক্ষে ক্রিকেট-ফুটবল খেলাও বৈধ হবে এবং উপরোক্ত শর্ত সাপেক্ষে সাময়িকের জন্য তা দেখাও জায়েয হবে। পক্ষান্তরে, উপরোক্ত শর্তের কোন একটি শর্ত অনুপস্থিত থাকলে ক্রিকেট-ফুটবল খেলা জায়েয হবে না এবং তা দেখাও নাজায়েয হবে।
কিন্তু বর্তমানে যেভাবে ক্রিকেট-ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয় তা ইসলামের দৃষ্টিতে কোন ক্রমেই বৈধ নয়। এ ধরনের খেলাধূলার লাইভ সম্প্রচার কিংবা আয়োজনের পূর্বে ধারণকৃত ভিডিও শোনা কোনটিই জায়েয নয়। কারণ এতে নিষিদ্ধ বাদ্য বাজানো হয়। দর্শকসারি (গ্যালারী) দেখাতে গিয়ে পরনারীদেরও দেখানো হয় এবং এদের (নারীদের) উপরই বেশিরভাগ সময় ক্যামেরা স্থির করা হয়। কোন কোন খেলা চলাকালে তো স্টেডিয়ামেই অর্ধনগ্ন নারীদের নাচের ব্যবস্থা করা হয়। এগুলো স্পষ্টতই হারাম কাজ।
আর সশরীরে উপস্থিত হয়েও এ ধরনের খেলা উপভোগ করা জায়েয নয়। এতে মুমিনের একাধিক গুনাহে লিপ্ত হওয়ার পাশাপাশি মূল্যবান সময় অপচয় হয়।
মানুষের অল্প সময়ের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তই অত্যন্ত মূল্যবান। তাই প্রতিটি মানুষের উচিত এই মূল্যবান সময়কে মূল্যবান কাজে ব্যয় করা। যা তার মৃত্যুর পর অনন্ত জীবনের জন্য কাজে আসবে।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, বুদ্ধিমান সেই ব্যক্তি যে মৃত্যু পরবর্তী জীবনের পাথেয় সংগ্রহ করে। (সুনানে তিরমিযী; হা.নং ২৪৫৯)
(সূত্র: সূরা আলে ইমরান- ১৮৫, সূরা মায়িদা- ২, সূরা লুকমান- ৬, সূরা নূর- ৩০, ৩১, তাফসীরে কুরতুবী ৬/৫১৩, ৫১৬, ৭/৩৭৪, ৩৭৫, সুনানে তিরমিযী; হা.নং ১৬৩৭, ২৪৫৯, সহীহ বুখারী; হা.নং ৫১৬২, ৬৩০১, সুনানে ইবনে মাজাহ; হা.নং ২৮১১, সুনানে নাসায়ী; হা.নং ৩৫৮০, সুনানে আবু দাউদ; হা.নং ২৫১৩, ৪০৭৮, ৪৯২৭, মুসনাদে হুমাইদী; হা.নং ২৫৪, মুসনাদে আহমাদ; হা.নং ২৪৮৫৫, মুসতাদরাকে হাকিম; হা.নং ২৪৬৭, মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক; হা.নং ১৯৭৩৭, মারিফাতুস সুনান ওয়াল আসার লিল-বাইহাকী; হা.নং ৬১৫৬, কিতাবুল ফিকহ আলা মাযাহিবিল আরবাআ ২/৪৬, জাদীদ ফিকহী মাসাইল ১/২৩৯, কিফায়াতুল মুফতী ৯/২৬৮, আপকে মাসাইল আওর উনকা হল ৮/৪০৬, ইমদাদুল মুফতীন ২/৮৩১, কিতাবুল ফাতাওয়া ৬/১৬০, ইমদাদুল আহকাম ৪/৩৭৮, তাকমিলাতু ফাতহিল মুলহিম ৪/৯৮)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন